বৃহস্পতিবার ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিতে নারী: প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপ

শ্যামা সরকার | ০৪ নভেম্বর ২০২১ | ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিতে নারী: প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপ

শ্যামা সরকার

জলবায়ু পরিবর্তন। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে উদ্বেগ ও সংকটময় বিষয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। রয়েছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জনসংখ্যার ঘনত্ব। উষ্ণায়নের মাত্রা বৃদ্ধি। এ কারণে হিমালয়ের হিমবাহ গলতে থাকায় সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ ঝুঁকি রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও রয়েছে প্রাকৃতিক সংকট। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততা এগুলো মারাত্মকভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত। এসব বিবেচনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

এ আশঙ্কা শুধু বাংলাদেশকে নিয়েই নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জলবায়ু সৃষ্ট অভিবাসনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক সক্রিয় অঞ্চল হিসেবে পরিণত হচ্ছে। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে এখানে জলবায়ু শরণার্থীর সংখ্যা বর্তমান সময়ের চেয়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির আশঙ্কায় থাকা উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ শহর ও বৃহৎ নগর কেন্দ্রগুলো গড়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটি আমাদের জন্য অশনি সংকেত।

যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর একটি। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরে এসেছে দেশটি। বিষয়টি অবশ্যই স্বস্তির। এরই মধ্যে চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরার দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নেন। একই অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য ও ইতালির রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ছিলেন।

এ সময় জন কেরি জানান, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে ট্রাম্প প্রশাসন সরে যাওয়ার ফলে যে সময় নষ্ট হয়েছে তা পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ৪০ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে নিয়ে ‘ক্লাইমেট লিডারস সামিট’ নামের একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনেরও আয়োজন করে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসায় ২০২১ সালের নভেম্বর (চলতি) মাস জলবায়ু ইস্যুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ মাসেই স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে চলছে কপ-২৬, যা এই দশকের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলন। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য রয়েছে রাষ্ট্রপ্রধান, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তাসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সমাবেশ। এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশেরও রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে জোরালো পদক্ষেপ।

এটি অত্যন্ত আনন্দের যে, ৪৮টি দেশ নিয়ে গঠিত জলবায়ু বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক ফোরাম সিভিএফ’র (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ। এই দেশগুলো যারা বিশ্বের ১ শতাংশের মতো গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য দায়ী অথচ নিঃসরণজনিত কারণে সৃষ্ট জলবায়ু সংকটের শিকার তাদের মুখপাত্র হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ‘উইমেনস ক্লাইমেট লিডারশিপ ইভেন্ট কপ-২৬ : উইমেন অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে একটি বাস্তবসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধান খুঁজে বের করার তাগিদ দেন। এ সময় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে কমনওয়েলথ এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) একসঙ্গে কাজ করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সহনশীল কমিউনিটি গড়ে তুলতে বৈশ্বিক সংহতির জন্য সাহসী ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে নারী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। যেখানে নারী ও পুরুষ উভয়েই সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে বিশ্বের বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এদের বেশিরভাগই মহিলা এবং মেয়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানব সমাজে বিদ্যমান কাঠামোগত বৈষম্য, অন্তর্নিহিত সামাজিক রীতিনীতি নারীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব ফেলছে। বিশ্বে নারীরা সম্পদের সমান অধিকার পায় না। অনেক ক্ষেত্রে নারীদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই এবং তারা প্রায়ই স্বল্প বেতনের বা অবৈতনিক চাকরি ও কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকে। এসব কারণে নারীদের ওপর পুরুষদের তুলনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশি পড়ে।

নারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় চরম বিপন্নতার শিকার। তাই আমাদের সরকার টেকসই উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করেছে বলেও আলোচনার একপর্যায়ে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া, বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (এনএপিএ) অভিযোজন সমাধানের অংশ হিসেবে ব্যাপকভাবে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতি, কৌশল ও পদক্ষেপে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেটিং (জিআরবি) চালু করা হয়েছে, এ বাজেটে সব নীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় মূলধারায় নারী উন্নয়নে প্রায় ৩০ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে।

বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুরুষের চেয়ে নারী সহনশীল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কঠিন পরিস্থতিতে নারীরাই প্রথমে তাদের পরিবার-পরিজনের যত্ন নিতে ঘুরে দাঁড়ায়। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়ে নীতিনির্ধারণ থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি প্রোগ্রামে ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে, এদের ৫০ শতাংশই নারী। দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা কমাতে সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

বেড়েই চলেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। হুমকির সম্মুখীন মানবসভ্যতা। এজন্য মানুষই পুরোপুরি দায়ী। আগামী দুই দশকের মধ্যেই পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফল হিসেবে এই শতকের শেষে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা দুই মিটার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতার বৃদ্ধির জন্য ভয়ানক পরিণতির মুখে পড়বে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলগুলো।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সদস্য ৪৮টি দেশ বিশ্বের মোট পরিমাণের মাত্র ৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমাদের জীবন ও জীবিকার জন্য হুমকিস্বরূপ। কোভিড-১৯ মহামারীকালীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্তিশালী, সাহসী এবং সংবেদনশীল কাজের জন্য কার্যকর সহযোগিতা ও সমন্বয়ের তাৎপর্য প্রশংসনীয়।

প্রায়ই বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের প্রথম শিকার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্বলতা এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ দিক বিবেচেনায় সিভিএফ এবং কমনওয়েলথের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার জন্য কয়েকটি সুপারিশ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সুপারিশ :

১. ভবিষ্যতের জন্য টেকসই, সবুজ এবং প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান অর্জনে জ্ঞান, গবেষণা, সক্ষমতা তৈরি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া।

২. প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলোর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে সম্মিলিত অহ্বান নেয়া। এ ক্ষেত্রে সবার সম্মিলিত অবস্থান জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

৩. জলবায়ু অভিবাসী ইস্যুতে বলেন, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, নদীভাঙন, বন্যা এবং খরার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে জলবায়ু অভিবাসীরা তাদের পৈতৃক ভিটে-মাটি, ঐতিহ্যগত পেশা হারাচ্ছে। এই মানুষগুলোর পুনর্বাসনে বৈশ্বিক দায়িত্ব রয়েছে।

৪. বৈশ্বিক তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে সবার ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রধান গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশগুলোকে তাদের উচ্চাভিলাষী এবং অ্যাগ্রেসিভ এনডিসিএস ঘোষণা করাতে একটি চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে।

৫. জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সহনীয় খরচে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন টেকনোলজি হস্তান্তর করা।

আশার কথা হলো : জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে নারীদের চাহিদা ও অগ্রাধিকারে অর্থের সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাপী নারীদের কণ্ঠস্বর সোচ্চার করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আমরা ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। এই পরিকল্পনা নারীদের জলবায়ু ঝুঁকি থেকে জলবায়ু সহনশীলতা এবং জলবায়ু সহনশীলতা থেকে জলবায়ু সমৃদ্ধির মূলধারায় পৌঁছে দেবে।

জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের একসঙ্গে বাস্তব, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দেশীয় ভিত্তিক সমাধানে অগ্রসর হতে হবে। এই পরিবর্তন স্বাস্থ, শিক্ষা ও সুরক্ষার জন্য বিরাট ভূমিকা রাখবে। ঝুঁকিমুক্ত হবে দেশ, স্বস্তিতে থাকবে মানুষ।

লেখক : শ্যামা সরকার ,

অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও প্রধান কমিউনিকেশন,

পাবলিকেশন অ্যান্ড রিসার্চ প্রধান কার্যালয়,

উদ্দীপন।

মন্তব্য করুন

বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১

24news.com.bd |

শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০ 

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : নাহিদ আনজুম সিদ্দিকি | প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম | সম্পাদক : মোঃ ফয়েজুর রহমান

জুহরা নূর সুপার মার্কেট, হাসনাবাদ পোর্ট কন্টেইনার রোড, হাসনাবাদ, দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১১।
ফোন : +8801877740333 | E-mail : info@24news.com.bd

©- 2025 24news.com.bd কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।