অনলাইন ডেস্ক | ১১ মে ২০২২ | ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় সরকার পক্ষ ও বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে সহিংসতার মধ্যে পড়ে এক এমপি’সহ অন্তত ৮ নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ নাগরিক। দেশটির নারকীয় পরিস্থিতি ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী-এমপিসহ অর্ধশতাধিক নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বাদ পড়েনি দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পৈত্রিক বাড়িও। উত্তপ্ত এ পরিস্থিতির মধ্যে শুধু সরকারের মন্ত্রী-এমপিরাই নন, তোপের মুখে পড়ছেন তাদের সমর্থকরাও।
গত সোমবার শ্রীলঙ্কা টুইট নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, সরকারপন্থি এক ব্যক্তিকে ধরে ময়লার গাড়িতে ফেলে দিচ্ছে একদল বিক্ষোভকারী। এসময় ক্ষুব্ধ জনতার ভেতর থেকে বলতে শোনা যায়, এটাই কলম্বো। ওই একই হ্যান্ডেল থেকে প্রকাশিত আরেকটি টুইটে বলা হয়, গলে-ভিত্তিক বিক্ষোভকারীদের তাড়া খেয়ে বেরওয়েওয়া লেকে ঝাঁপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সমর্থকরা। এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট এক টুইট বার্তায় দেশটির বিক্ষুব্ধ নাগরিকদের সরকারি সম্পদের ক্ষতি সাধন না করার অনুরোধ করার পাশাপাশি নাগরিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশটিতে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংবিধানের আলোকে কাজ করা হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিরসনে কাজ করা হবে।
প্রসঙ্গত, নতুন এই নির্দেশনার আলোকে দেশটিতে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা কোনো বিক্ষোভকারীকে আটকের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টা নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারবেন। একই সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো বেসরকারি স্থাপনা ও গাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারবেন। এছাড়াও কোনো পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতারের ক্ষমতা পেয়েছে পুলিশ। তারপরও সরকার বিরোধীদের দমন করা যাচ্ছে না। সূত্র : নিউজওয়্যার/ডেইলি মিরর/এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১১ মে ২০২২
24news.com.bd | Online Desk