অনলাইন ডেস্ক | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
গাজায় বড় ধরনের কোন অভিযান চান না প্রায় অর্ধেক ইসরায়েলের নাগরিক। দেশটির সংবাদমাধ্যম মারিভের চালানো এক জরিপ থেকে জানা যায়, ইসরায়েলের ৪৯ শতাংশ নাগরিক চান না গাজায় এখনই কোনো ধরনে বড় অভিযান চালানো হোক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এখনো অনেকে হামাসের কাছে বন্দী আছে।
ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। হামাসকে নির্মূলের প্রতিজ্ঞাও ব্যক্ত করেছে দেশটি। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান ও স্থল, এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেই থেকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী অনবরত অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলায় নিহতদের প্রায় শতভাগই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে আবার অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরাইলের হামলায় বিগত ২১ দিন ধরে চলা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪১৫। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, গণহত্যার উদ্দেশ্য চালিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে- গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪১৫। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২০ হাজার ৫০০ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৭ হাজার ৩০৫ জনই গাজা উপত্যকার। হাজায় আহত হয়েছে ১৮ হাজার ৫৬৭ জন। বিপরীতে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে বিগত ২১ দিনে নিহত হয়েছে ১১০ জন। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১ হাজার ৯৫০ জন। নিহতদের মধ্যে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু ও বয়স্ক।
এছাড়াও এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাদ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় সম্পূর্ণ এক দুর্বিষহ সময় পার করেছে গাজাবাসি।
এমতাবস্থায় ইসরায়েলিদের ওপর চালানো জরিপের ভিত্তিতে মারিভ পত্রিকা জানিয়েছে, মাত্র ২৯ শতাংশ ইসরায়েলি চান এখনই হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান বা অন্য কোনো বড় অভিযান চালু হোক। বিপরীতে ৪৯ শতাংশ মনে করেন, এখনই অভিযান শুরু না করে আরও অপেক্ষা করা উচিত। ২২ শতাংশ ভোটার এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। জরিপটি ৫২২ জন প্রাপ্তবয়স্ক ইসরায়েলির ওপর চালানো হয়। মারিভ জানিয়েছে, এই জরিপে ভুলের আশঙ্কা মাত্র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
এর আগে, গত ১০ অক্টোবর একই ইস্যুতে জরিপ চালায় মারিভ। তখন অন্তত ৬৫ শতাংশ ভোটদাতা বলেছিলেন, শিগগিরই গাজায় বড় আকারের স্থল অভিযান শুরু করা উচিত। মারিভ বলছে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি জনমানসে এই বিষয়ে মত পরিবর্তিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
24news.com.bd | News Desk